শামীম আহমদ
একটা সময় ছিল যখন চিঠিকেই ধরা হতো যোগাযোগের সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম। মানুষ ভালোবাসা, সুখ-দুঃখ, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ধরনের খবরের অপেক্ষায় থাকত চিঠির ওপর ভরসা করে। আর সে অপেক্ষা ঘণ্টার পর ঘণ্টা, সপ্তাহজুড়ে, এমনকি মাস পেরিয়ে বছরও হয়ে যেতো। মা অপেক্ষা করতেন- কবে আসবে খোকার চিঠি। মা-ছেলের আশা-ভরসার কথোপকোথন হতো পত্রের ভাষায়। এমনিভাবে কি আর চলে মনের কথা! তারপর যুগ বদলে দিল টেলিফোন। চলতে থাকল এই মাধ্যমে আলাপন। তাতেও মায়ের মন ভরে না। পরবাসে ছেলে কেমন আছে? কি খায়? কিভাবে চলে?- জানতে চান মা। নিত্য নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাব ও ব্যবহারে মায়ের সে আশাও পূরণ হলো। মা এখন ছেলেকে সরাসরি দেখেন এবং কথা বলেন। কি আনন্দ এখন মায়ের মনে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তির ব্যবহার জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে শুরু করেছিলেন ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র। পরবর্তী সময়ে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি)। এই ইউডিসিগুলো থেকে প্রতিদিন সেবা পাচ্ছেন তৃণমূলের জনগণ। সেবাগুলো হলো- জন্ম নিবন্ধন, অনলাইনে চাকরির আবেদন, অনলাইনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আবেদন, অনলাইনে শিক্ষাবৃত্তির আবেদন, এজেন্ট ব্যাংকিং, ই-শপসহ নিত্য-নতুন প্রযুক্তি। আর এই সেবা প্রদান করছেন ইউডিসি উদ্যোক্তাগণ। এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের সুফলতা কাজে লাগিয়ে বর্তমান বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন অন্য এক উচ্চতায়। বাংলাদেশ এখন মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে বিশ্ব দরবারে। ধন্যবাদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপকার বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ধন্যবাদ আপনার বিশ্বস্ত সহযোগীবৃন্দকে, যারা প্রযুক্তি পৌঁছে দিচ্ছেন জনগণের দোরগোড়ায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
* শামীম আহমদ: ইনফোলিডার, ফতেহপুর ইউডিসি, জৈন্তাপুর, সিলেট
মন্তব্য (০)