টার্কি মুরগির খামার করে সফল খানসামার গোলাম রব্বানী

মোমেনীন : ইনফোলিডার, বাগাট ইউডিসি, মধুখালী , ফরিদপুর
প্রকাশ কাল : ২০১৭-০৭-০৪ ১৭:৪৬:৪৭


টার্কি মুরগির খামার
টার্কি মুরগির খামার

আমিনুল ইসলাম, ইনফোলিডার, খানসামা ইউডিসি, দিনাজপুর

দিনাজপুরের খানসামায় টার্কি মুরগির খামার করে সফলতা পেয়েছেন গোলাম রব্বানী। তিনি উপজেলার গোয়ালডিহি গ্রামের ভুল্লার হাট এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। রব্বানী ছাত্রাবস্থায় পড়ালেখার পাশাপাশি ব্যবসার প্রতি ঝুঁকে পড়েন। এইচএসসি পাসের পর বাবার মিল চাতালে ধান-চালের ব্যবসার সঙ্গে স্টক ব্যবসা দিয়ে তার পথচলা শুরু। এরপর তিনি ভুট্টার বীজ সরবরাহ ও বিক্রি শুরু করেন। এসব ব্যবসার পাশাপাশি বছর খানেক আগে নওগাঁ থেকে টার্কি মুরগি নিয়ে এসে ভুল্লারহাটে নিজেদের চাউল মিলের এক পাশে খামার গড়ে তোলেন তিনি। এ কাজে বর্তমানে তাকে সহযোগিতা করছেন অপর দুই ভাই গোলাম আজম ও আসাদুজ্জামান।

গোলাম রব্বানী জানান, লতাপাতা আর ঘাস খেয়ে জীবন-ধারণ করায় স্বল্প খরচে টার্কি মুরগি পালন করা যায়। বর্তমানে তার খামারের ৩টি শেডে ছোট-বড় ও মাঝারি মিলে প্রায় তিন শতাধিক টার্কি মুরগি রয়েছে। তবে মুরগির তুলনায় মোরগগুলো অনেক বড়। এখানকার এক একটি মুরগির ওজন প্রায় ৬ কেজি থেকে ১৪ কেজি। প্রতিটি মুরগি প্রায় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা এবং প্রতিটি ডিম প্রায় ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেখম মেলে থাকা নতুন জাতের এই মুরগি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি বড়। তাই এসব মুরগি দেখতে প্রতিদিন শৌখিন মানুষজন দূর-দূরান্ত থেকে এসে খামারটিতে ভিড় জমাচ্ছেন। এর পাশাপাশি টার্কি মুরগির মাংসের প্রতিও এ এলাকার মানুষের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

গোলাম রব্বানী আরও জানান, বর্তমানে খামারের অধিকাংশ মুরগি ডিম দিচ্ছে। এছাড়া ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর মেশিনও রয়েছে। মুরগির রোগ প্রতিরোধের জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা আমাকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন জানান, টার্কি মুরগির খামার খানসামায় নতুন। এজাতের মুরগি পালন লাভজনক। গোলাম রব্বানীর খামারটিতে গিয়েছিলাম। এটি একটি ভালো উদ্যোগ। বেকারা টার্কি মুরগি পালনে এগিয়ে এলে লাভবান হবেন।


momenin/

মন্তব্য  (০)

মন্তব্য করুন