জয়পুরহাটে সাধারণ মানুষের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করছে ইউডিসিগুলো

প্রতীক মাহমুদ : ইনফোলিডার, ইউডিসি, নকলা, পিরোজপুর
প্রকাশ কাল : ২০১৭-০৭-৩০ ১৭:৩০:৩৪


জয়পুরহাটে সাধারণ মানুষের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করছে ইউডিসিগুলো
জয়পুরহাটে সাধারণ মানুষের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করছে ইউডিসিগুলো

তথ্যজানালা অনলাইন ডেস্ক

জয়পুরহাটে সাধারণ মানুষের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করছে জেলার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো। এতে করে তাদের সময় অপচয় বা টাকা খরচ করে আর শহরে যেতে হচ্ছে না। ঘরে বসেই এখন সব ধরনের সেবা নিতে পারছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। জেলার পাঁচ উপজেলার ৩২টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের (ইউডিসি) মাধ্যমে বর্তমানে এই সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে জন্মনিবন্ধন, কম্পিউটার কম্পোজ ও প্রিন্ট, ছবি তোলা, ছবি, সার্টিফিকেট, লেমিনেটিং, ফটোকপি, পাসপোর্ট ফরম পূরণ, ই-মেইল, ইন্টারনেট, ভিডিও কলিং, চাকরির তথ্যপ্রাপ্তি ও আবেদন, ভর্তি, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, এজেন্ট ব্যাংকিং ইত্যাদি।

সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল আমদই ইউডিসিটি জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আগে উল্লিখিত সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য এলাকাবাসীদের টাকা এবং সময় অপচয় করে জেলা শহরে আসতে হতো। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলার কারণে ঘরে বসেই সেই সেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

এসব সেবা প্রাপ্তিতে খুশি বলে জানান মেয়ের জন্য জন্মসনদ নিতে আসা আমদই ইউনিয়নের গুয়াবাড়ীঘাট গ্রামের নাজমা বেগম, ঋণের জন্য আবেদন করতে আসা হিন্দুপাড়ার বিপ্লব দেবনাথ, ফটোকপি করতে আসা পাইকর গ্রামের গোলাম মস্তোফা, ওয়ারিশান সনদ নিতে আসা কাদোয়া গ্রামের আবু রাইহান, জন্মসনদ নিতে আসা মাধাই নগর গ্রামের প্রতীক প্রামানিক ও হাটুভাঙ্গা গ্রামের শিক্ষার্থী মাবুদুল ইসলাম।

গত এক বছরে আমদই ইউডিসি থেকে প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান এখানকার উদ্যোক্তা মোতারফ হোসেন জুয়েল। স্ত্রী ফেরদৌসী জুয়েলও তার সকল কাজে সহযোগিতা করে থাকেন বলেও জানান তিনি। জুয়েল বলেন, ‘ইউডিসি উদ্যোক্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মাস্টার ট্রেনার হিসাবেও দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা হয়। এছাড়া আমদই ইউনিয়ন ডিজিটাল ল্যাবে বর্তমানে ১২ শিক্ষার্থীসহ এ পর্যন্ত ৯৫ জন কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সেবা প্রদানের পাশাপাশি ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বেকাররা দক্ষতা অর্জন করছে এবং আয়বর্ধনমূলক বিভিন্ন কাজে অংশগ্রহণ করতে পারছেন।

আমদই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু বলেন, ‘দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে এই ইউনিয়নের লোকজন সেবা নিতে পারেন। জেলার বাইরে অবস্থান করা বিশেষ করে গার্মেন্টস কর্মীদের সুবিধা হয়েছে বেশি। কোন কাজে বাড়তি টাকা খরচ করে আসার দরকার পড়ে না। শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন পাঠালেই সেবা পৌঁছে যায়।’ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য ইউডিসিগুলো বর্তমান সরকারের স্বপ্নকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, জেলার ৩২টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন জেলা প্রশাসক মো. মোকাম্মেল হক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত আইসিটি বিভাগ। [সূত্র: বাসস]


protik/mohin

মন্তব্য  (০)

মন্তব্য করুন