দেশে সফটওয়্যার টেস্টিং সেন্টার স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার

মোঃ আনোয়ার হোসেন : ইনফোলিডার, খেদাপাড়া ইউডিসি, মনিরামপুর, যশোর
প্রকাশ কাল : ২০১৭-১০-২৫ ২৩:৪৩:৩০


দেশে বিশ্বমানের সফটওয়্যার টেস্টিং সেন্টার হতে যাচ্ছে
দেশে বিশ্বমানের সফটওয়্যার টেস্টিং সেন্টার হতে যাচ্ছে

আইসিটি খাতের উন্নয়নে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের সফটওয়্যার শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার খুব শিগগিরই দেশে প্রথমবারের মতো বিশ্বমানের একটি সফটওয়্যার টেস্টিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন সেন্টার স্থাপন করতে যাচ্ছে।

সফটওয়্যার কোয়ালিটি টেস্টিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন (এসকিউটিসি) সেন্টার প্রকল্পের প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান বলেন, ‘সরকারি অফিসগুলোর সফটওয়্যার সিস্টেম যাচাই ও বৈধতা প্রদান, সচেতনতা সৃষ্টি এবং দেশে সফটওয়্যার টেস্টিং শিল্পের সম্প্রসারণই এই টেস্টিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার প্রধান লক্ষ্য। দেশের সফটওয়্যার টেস্টিং ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর মতো সক্ষমতা অর্জনও এর অন্যতম লক্ষ্য।’

ডাক, তার ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণারয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে (বিসিসি) প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছে।

সফটওয়্যার শিল্পে বাংলাদেশকে একটি প্রধান পাওয়ার হাউজে পরিণত করতে এ ধরনের একটি সেন্টার অপরিহার্য বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার পর বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশী সফটওয়্যারের চাহিদা অবশ্যই সৃষ্টি হবে।

সাইফুল আলম বলেন, ‘সেন্টারটিতে ট্রেইনিং প্রোগ্রাম পরিচালিত হবে। এখান থেকে ফাংশনাল টেস্টার্স, টেস্ট অটোমেশন প্রকৌশলী, পাফর্মেন্স টেস্ট প্রকৌশলী, সিকিউরিটি টেস্ট প্রকৌশলী, মোবাইল টেস্ট প্রকৌশলী, টেস্ট ম্যানেজার এবং প্রকল্প ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার তৈরি হবে।’

তিনি আরও বলেন, এসকিউটিসি সেন্টার সফটওয়ার টেস্টিং, সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল (এসডিএলসি), সফটওয়ার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ও গতিশীল প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এর ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

প্রকল্পটির অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকৌশলী সাইফুল আলম বলেন, বিসিসিতে ইতোমধ্যেই অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে, এর কর্মকর্তা ও স্টাফদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

সেন্টারটিতে সফটওয়্যারের মান যাচাই করা হচ্ছে। সেন্টারটির মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই টেস্ট ম্যাচুরিটি মডেল ইন্টেগরেশন (টিএমএমআই)-৩ সার্টিফিকেশনটি চালু করা হয়েছে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দেশে তৈরি সফটওয়ারের মান নিশ্চিত করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। কারণ, এগুলোর মধ্যে বেশকিছু ভাইরাসযুক্ত ও দুষিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমাদের সফটওয়্যার রপ্তানি বৃদ্ধি করবে এবং এতে ডিজিটাল অর্থনীতির পথ প্রশস্ত হবে।’

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বিএএসআইএস)-এর সভাপতি মুস্তফা জব্বার বলেন, ‘এ ধরনের একটি সেন্টার বিশ্বমানের পণ্য তৈরি ও সফটওয়ার রপ্তানিতে অবশ্যই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি জানান, সফটওয়্যার টেস্টিং অ্যান্ড সার্টিফিকেশন সেন্টারটি নিঃসন্দেহে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে সরকারের একটি দৃঢ় পদক্ষেপ।

তিনি আরও জানান, সফটওয়্যার রপ্তানি থেকে আয় ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। শুধু গত অর্থবছরেই এ খাত থেকে প্রায় ৭০ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।

জব্বার বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে আমরা প্রায় এক বিলিয়ান মার্কিন সফটওয়্যার রপ্তানি করেছি।’

বর্তমান সরকার ২০২১ সাল নাগাদ আইটি খাত থেকে বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

[সূত্র: বাসস]


bdmahossain/mohin

মন্তব্য  (০)

মন্তব্য করুন