খানসামায় ব্যাগিং পদ্ধতিতে কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদন

মো: আমিনুল ইসলাম : ইনফোলিডার, গোয়ালডিহি ইউডিসি, খানসামা, দিনাজপুর
প্রকাশ কাল : ২০১৮-০৭-১২ ১৪:০৭:৪৬


খানসামায় ব্যাগিং পদ্ধতিতে কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদন
খানসামায় ব্যাগিং পদ্ধতিতে কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদন

দিনাজপুরের খানসামায় ব্যাগিং পদ্ধতিতে কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদন করে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন হাফিজ উদ্দিন শাহ নামে এক আমচাষী। চলতি বছর উপজেলার নেউলা গ্রামে ৪৯ শতকের একটি জমিতে লাগানো আম্রপালি জাতের বাগানে ২৫ শতকে তিনি ব্যাগিং পদ্ধতি করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় তিনি এ পদ্ধতিতে ৭০টি গাছে ব্যাগ লাগিয়েছেন। 

বাগান ঘুরে দেখা গেছে, অনুকূল আবহাওয়ায় এ বছর আম্রপালি ও বারি-৪ জাতের আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সংগ্রহকৃত চারা রোপনের ২ বছর পর হাফিজ উদ্দিনের বাগানে গত বছর প্রথম এবং এ বছর দ্বিতীয় বারের মতো আম ধরেছে। এক বিঘা পরিমাণ জমিতে বাগান করতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। আর প্রতিটি গাছে আম ধরেছে প্রায় ৩০ কেজির মতো। বর্তমান বাজারে যার মূল্য প্রায় এক লাখ টাকা। একইভাবে তাঁর অপর দু’টি বাগান করতে খরচ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর আম বিক্রি হবে প্রায় বাগানের খরচের সমান। এছাড়াও তিনি এসব বাগানে বেড়া হিসেবে লেবু গাছ লাগিয়ে বাড়তি আয় করছেন। 

হাফিজ উদ্দিন ছাড়াও এ বছর সহজপুর গ্রামের মাসুদার রহমান, ডাঙ্গাপাড়ার শিরিল মুর্মু ও গোয়ালডিহি গ্রামের আফতাব উদ্দিনকে স্বল্প পরিমাণে ব্যাগিং পদ্ধতিতে কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদন করতে দেখা গেছে।

হাফিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমার দীর্ঘদিনের সখ ছিল বাগান করা। সে চিন্তা থেকেই আম বাগান করেছি। এজন্য অনেকবার রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরেও দেখেছি। আমি রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যাগিং পদ্ধতি দেখেছি। তাই আমিও কীটনাশকমুক্ত ব্যাগিং পদ্ধতি করছি। এটি দেখার জন্য প্রতিদিন অনেক বাগান মালিক আসছেন। এ কাজে আমাকে সহায়তা করছে উপজেলা কৃষি অফিস। আমার আরও বাগান আছে, সেখানেও আগামীতে ব্যাগিং পদ্ধতি বাড়াব। গত বছর এ বাগান থেকে আম বিক্রি করেছিলাম ৮০ হাজার টাকা। আশা করছি এ বছর এক লাখ টাকার বেশি আম বিক্রি করতে পারব।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আফজাল হোসেন বলেন, আম ১০০ গ্রাম পরিমাণ হলে ব্যাগ লাগাতে হয়। এতে আম যেমন ছত্রাকমুক্ত ও বিষমুক্ত হয়, তেমনি আমের রঙ হয় আকর্ষণীয়। ফলে, ক্রেতারা এগুলো কিনতে আগ্রহী হয়। বাজার মূল্যও ভালো পাওয়া যায়। বিদেশে এসব আমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। যেহেতু খানসামায় বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ শুরু হয়েছে, সে জন্য আমরা সেদিকে দৃষ্টি রেখেছি।


aminulkhansama/mohin

মন্তব্য  (০)

মন্তব্য করুন