প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর পর বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় ভালুকিয়া বিদ্যালয়

বিশ্বজিৎ তনচংগ্যা বিশু : ইনফোলিডার, রাইখালী ইউডিসি, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি
প্রকাশ কাল : ২০১৮-০৮-১৪ ১৭:২৬:৫০


প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর পর বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় ভাল্লুকিয়া বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠার ২৪ বছর পর বিদ্যুৎসংযোগের আওতায় ভাল্লুকিয়া বিদ্যালয়

কাপ্তাই উপজেলার ২নং রাইখালী ইউনিয়নের দুর্গম ভালুকিয়া অবস্হিত ভালুকিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি এখনও নন- এমপিও ভুক্ত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং সেকায়েপ অন্তর্ভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। পাহাড়ের ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন স্বর্গীয় গোপাল চন্দ্র তনচংগ্যা। এই এলাকায় সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এতোদিন ধরে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল বিদ্যালয়টি। অবশেষে বিদ্যালয়ের বিদুৎসংযোগে এগিয়ে এলেন কাপ্তাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন। দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে বিদুৎহীন থাকা এই বিদ্যালয়টিতে সোলার স্হাপন করে আলোকিত করলেন স্কুলটিকে।

এ প্রসঙ্গে রুহুল আমীন জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁকে অবহিত করেন যে, স্কুলটি দীর্ঘ ২৪ বছরেও কোনরকম বিদুৎ সংযোগের আওতায় আসে নাই। তাই আমি তাৎক্ষণিকভাবে সোলার স্থাপন করে স্কুলটিকে বিদুৎতের আওতায় আনি। শিক্ষা নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক বেশি। তাই শিক্ষাখাতে যেকোন সমস্যা সমাধানে আমি সবসময় প্রস্তুত আছি।

কাপ্তাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহমেদ জানান, তিনি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান  সেখানে কোনো বিদুৎসংযোগ নেই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি কাপ্তাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি সোলার বসিয়ে স্কুলকে বিদুৎসংযোগের আওতায় আনেন।

এদিকে সোলার স্হাপন করায় ইউএনও রুহুল আমিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরাগণ।

উল্লেখ্য, পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় গরীব ও অসহায় পরিবারের ছেলে মেয়েরা প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি নিজ ঘর থেকে পায়ে হেঁটে এসে মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জনেরও সুযোগ পাচ্ছে এই বিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে বেতন-ভাতাহীন অবস্থায় দীর্ঘদিন যাবৎ মোট ছয়জন শিক্ষক ও সহায়ক শিক্ষা প্রদান করে আসছেন। ২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় পাশের হারে কাপ্তাই উপজেলার মধ্যে ২য় স্থান অধিকার করে বিদ্যালয়টি। এছাড়া প্রতিবছরই জেএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করছে বিদ্যালয়টি।


Bisu Tanchangya/mohin

মন্তব্য  (০)

মন্তব্য করুন