Logo

জয়পুরহাটের আলু সারাদেশে চালু

protik , পিরোজপুর || প্রকাশ কাল : 2017-06-06 17:01:39


আলু উৎপাদনে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা এখন জয়পুরহাট। প্রতি বছর এ জেলা থেকে সারাদেশে আলু যায়। এখানকার আলুক্ষেত দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। চারদিকে সবুজ আর সবুজ। এখানকার চাষিরা এক জমিতে বছরে দু’বার ধান আর একবার আলু চাষ করেন। আলু রোপণ করা হয় নভেম্বরে আর তোলা হয় ফেব্রুয়ারি মাসে। কেউ কেউ আবার বেশি মুনাফার আশায় আগাম জাতের আলুও চাষ করেন।

জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা ইউনিয়নের আলুচাষি আঃ জলিল জানান, তিনি প্রতি বছর ৩ একর জমিতে আলু চাষ করেন। এখান থেকে বছরে ৪ লাখ টাকা আয় হয় তার। আলু চাষ করে তিনি এখন সাবলম্বী। জলিল বলেন, ‘আমার আরো আয় হতো। কিন্তু ভালো বীজের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতি বছর বহু টাকার বীজ কিনতে হয়। কিন্তু এখানে হিমাগারের অভাব রয়েছে।’ তার মতে এখানে ভালো মানের একটা বীজের হিমাগার হলে আলুর উৎপাদন অনেক বেড়ে যাবে।

আলুচাষি আতিকুল ২ বিঘা জমিতে গ্রানুলা আলু লাগান। আলু চাষের জন্য এখন আর সার, বীজ নিয়ে কোনো প্রকার ঝামেলা পোহাতে হয় না, যা আগে হতো। কিন্তু  প্রতি বারই ভালো বীজ সংকটে পড়তে হয়। ভালো বীজের সংকট কেটে গেলে দেশে আলুর উৎপাদন বাড়বে, চাষিরাও লাভবান হবে। স্থানীয় বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন, কথায় আছেÑ ‘জয়পুরহাটের আলু সারা বাংলায় চালু’। এই স্লোগান যেন অটুট থাকে সে জন্য এ এলাকার সবাইকে আলু চাষে উৎসাহ দিতে হবে। তিনি বলেন, এই ইউনিয়নে একটি হিমাগার রয়েছে। আলু চাষে কৃষকরা যাতে সার, বীজ নিয়ে কোন প্রকার ঝামেলয় না পড়ে সেজন্য সব বীজ এবং সারের দোকান নিয়মিত মনিটরিং করা হয়।

কৃষি অফিসার বলেন, আলু চাষ লাভজনক ফসল তাই কৃষকদের নিয়ে আমরা নিয়মিত মাঠ দিবসের মাধ্যমে আলু চাষে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি। তাছাড়া ভালো বীজ কিভাবে রাখা যায় সে ব্যাপারে সবাইকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে আমাদের এখান থেকে।

* জাহিদুল ইসলাম : ইনফোলিডার, বড়তারা ইউডিসি,  জয়পুরহাট

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি
Developed by