লক্ষ্মীপুরে শিম চাষে ভাগ্য বদল কৃষকের
protik , পিরোজপুর || প্রকাশ কাল : 2017-06-06 17:03:36
লক্ষ্মীপুরে শিম চাষে আবারও বাম্পার ফলন হয়েছে। গত তিন চার বছরের টানা সাফল্যে চলতি মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষি দফতরের সঠিক পরিচর্যায় শিম উৎপাদনে উপর্যুপরি বাম্পার ফলন হচ্ছে। উৎপাদিত শিম থেকে এ বছর আড়াই কোটি টাকা আয় হবে বলে জনিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
দুই সপ্তাহ আগে থেকে কৃষকরা শিম তুলে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করছে। মৌসুমের শুরুতে শিমের চাহিদা বেশি। দামও পাওয়া যায় ভালো। বর্তমানে স্থনীয় বাজারগুলোতে ৩৫ টাকা থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এক কেজি শিম। জেলার রামগতি কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও চরাঞ্চলে স্থানীয় ও উন্নত জাতের শিমের চাষ হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসমে জেলার ৩ হাজার ৩ শত ৭৭ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৭ শ’ ৯৬ হেক্টর জমিতে শিমের চাষাবাদ হয়, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ শ’ হেক্টর বেশি। সদর উপজেলায় ৩ শত ৫০ হেক্টর, রায়পুর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, রামগঞ্জ উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, রামগতি উপজেলায় ২৫০ হেক্টর ও কমলনগর উপজেলায় ৮৬ হেক্টরেরও বেশি জমিতে শিমের চাষ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় বেশি করে শিম চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। এতে ইতিমধ্যে অনেকেরই ভাগ্য বদলে গেছে।
রামগতির আলেকজেন্ডার এলাকায় কৃষক শরীফ হোসেন জনান, বাড়ির পাশে ১ খ- জমিতে শিম চাষ করেছেন। ইতমধ্যে শিম তুলে বিক্রি শুরু করেছেন। খরচের তার ৪ গুন লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি। কমলনগরের সেবা গ্রামের শিমচাষি হাফিজ বলেন, অন্যান্য সবজির চেয়ে শিম চাষে লাভ বেশি। যে কারণে স্থানীয় একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ৪০ শতাংশ জমিতে শিম চাষ করেন।এতে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। উৎপাদিত শিম বিক্রি করে তার ৬০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলার শীতকালীন সবজির মধ্যে এবার শিমের উৎপাদান বেশি। আবহওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষকরা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে।
* মিজান উদ্দিন সোহাগ : ইনফোলিডার, চরশাহী ইউডিসি, লক্ষ্মীপুর
