momenin , ফরিদপুর || প্রকাশ কাল : 2017-07-17 15:02:30
মনোয়ার হোসেন, ফুলছড়ি ইউডিসি, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব নেই। বন্যার পানি না কমা পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। এছাড়া পানি কমলে রাস্তাঘাট মেরামত করা হবে।
গত রোববার (১৬ জুলাই, ২০১৭) বিকেলে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের চর কাবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় এক সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আপনাদের কষ্ট দেখার জন্য এখানে এসেছি। দুর্যোগের সময় আপনারা মিলেমিশে থাকবেন।
উড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মহাতাব উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ।
ত্রাণমন্ত্রী ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের ৬০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল, এক কেজি মুড়ি, এক কেজি লবণ, এক কেজি চিনি, এক কেজি চিড়া, এক ডজন মোমবাতি ও এক ডজন দিয়াশলাই সম্বলিত একটি করে প্যাকেট দেওয়া হয়।
এর আগে ওইদিন দুপুরে মন্ত্রী গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় যোগ দেন। সেখানে তিনি সরকারি কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বন্যাদুর্গতদের জন্য সরকারের যথেষ্ট ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। তাই রিলিফে কোনো রকম দুর্নীতির ছোঁয়া যেন না লাগে। কারও বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল প্রমুখ।